ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০২-০৬-২০২৫ ০৮:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০২-০৬-২০২৫ ০৮:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন
প্রতীকী ছবি
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। আগের মতোই বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
তবে ২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে পরের এক অর্থবছর পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা হবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এছাড়া, করমুক্ত আয়সীমা অতিক্রম করলে দেশের সব এলাকায় ন্যূনতম আয়কর দিতে হবে ৫ হাজার টাকা। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০% হারে একটি কর স্তর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া স্তরেও পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
বর্তমান করহার অনুযায়ী, এলাকাভেদে ন্যূনতম করহার হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। এবার এটি তুলে দেওয়া হচ্ছে। আর নতুন করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করতে ন্যূনতম করহার ১ হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী ২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে ব্যক্তি শ্রেণির করহার অনুযায়ী, সাধারণ ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়কর সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। সে হিসাবে সাধারণ ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা হবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা; মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার ক্ষেত্রে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা; প্রতিবন্ধী করদাতা ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা করদাতার ক্ষেত্রে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং তৃতীয় লিঙ্গ করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা হবে ৫ লাখ টাকা।
এবার ব্যক্তিগত আয়কর খাতে “জুলাই যোদ্ধা” নামে নতুন একটি ক্যাটাগরি যুক্ত করা হয়েছে। গেজেটভুক্ত আহত জুলাই যোদ্ধাদের করমুক্ত আয়সীমা মুক্তিযোদ্ধাদের সমান। অর্থাৎ ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এছাড়া, কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যেকোনো একজন এই সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণির বিদ্যমান করহার অনুযায়ী, সাধারণ ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা; মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার ক্ষেত্রে ৪ লাখ টাকা; প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা এবং তৃতীয় লিঙ্গ করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর শূন্য। করমুক্ত আয়সীমার পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত করহার ৫%, পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০%, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০%, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫%, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫%, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০%, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০%, পরবর্তী ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২৫%, পরবর্তী ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২৫%, অবশিষ্ট টাকার ওপর ৩০% এবং অবশিষ্ট টাকার পর ৩০% হারে আয়কর প্রযোজ্য হবে।
প্রসঙ্গত, আয়কর আইনে আয়বর্ষ হলো, করদাতা যে বছরে আয় করেন। আর করদাতা যে বছরে কর দেন, তাকে করবর্ষ বলা হয়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স